নিজস্ব প্রতিবেদক :মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই বছর ঈদ কেটেছে ঘরবন্দি হয়ে। এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। সংক্রমণ কমায় এরই মধ্যে জনজীবন অনেকটা স্বাভাবিক। তাই আসছে ঈদুল ফিতর ঘিরে দেশের পর্যটনখাত ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। এরইমধ্যে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে দেশের প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্র। করোনা বিধিনিষেধ না থাকায় অনেকে এবার ঈদের ছুটিতে দেশের বাইরে ভ্রমণের পরিকল্পনাও করছেন। ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর কাটছে ব্যস্ত সময়।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিগত দুই বছর করোনার উচ্চঝুঁকির কারণে মানুষ পর্যটনকেন্দ্রে সেভাবে আসেনি। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় এবং ঈদে লম্বা ছুটির সুযোগে এবার অভ্যন্তরীণ পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের ভিড় জমবে। এরইমধ্যে কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সিলেট, বান্দরবান, শ্রীমঙ্গল, সুন্দরবন, খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রের হোটেল-মোটেলের বেশিরভাগই বুকিং হয়ে গেছে।চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২ বা ৩ মে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে। এবার ঈদে ৫ মে ছুটি নিলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টানা ৯ দিনের ছুটি পাবেন। একই পরিস্থিতি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও। ফলে ঈদকেন্দ্রিক লম্বা ছুটির সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রমোদভ্রমণে সময় কাটাবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের পর দীর্ঘ ছুটি থাকায় ভালো ব্যবসা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের অধিকাংশ রুম বুকিং হয়েছে। আশা করি, ঈদের আগে আরও হবে। ঈদের পর পর্যটকদের বাড়তি চাপ থাকবে। ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে পরবর্তী টানা পাঁচ-সাতদিন এ চাপটা থাকবে।
‘আমাদের এখানে চারশোর বেশি হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজ আছে। এখানে প্রতিদিন এক থেকে সোয়া লাখ পর্যটক থাকতে পারেন। এর মধ্যে দু-একদিন চাপ বেশি থাকে। ওই সময় ২০ থেকে ৫০ হাজার অতিরিক্ত পর্যটক আসেন। অনেকে দিনে এসে দিনেই চলে যান, বিশেষত চট্টগ্রামের মানুষ। সবমিলে প্রতিদিন এক থেকে দেড় লাখ মানুষ হবে বলে আশা করি।